মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে রেজোয়ান ইসলাম নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ নিখোঁজের ১৬ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ৮/৪/২৫ তারিখ বিকালে মামলার প্রধান আসামি পাপ্পুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা নগরপাড়া তালপুকুর মহল্লার একটি অব্যবহৃত ঘর থেকে রেজোয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রেজোয়ান মহানগরীর উপকণ্ঠ লিলি সিনেমা হল মোড়ের রিকশাচালক বাবু ইসলামের ছেলে।
মহানগরীর দামকুড়া থানার ওসি রবিউল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি মামলার আসামি পাপ্পুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন। এসময় নিহত রেজোয়ানের নিকটাত্মীয় এবং প্রতিবেশিরা পাপ্পুসহ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।
ওসি জানান, রেজোয়ানের বাবা বাবু ইসলাম একজন অটো রিকশাচালক। রেজোয়ানের স্কুল ছুটি থাকায় গত ২৩ মার্চ দুপুরে প্রতিবেশি পাপ্পু নামের এক যুবক জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাটে তাকে নিয়ে যায়। এরপর রেজোয়ান আর বাড়ি ফিরে নি। অটোরিকশাও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রেজোয়ানের বাবা বাবু ইসলাম মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি পাপ্পুসহ তার ভাই পিয়াস (২০), পার্শ্ববর্তী জেলার পবার উপজেলার হরিপুর এলাকার রাসেল (৪০), মানিক (২২) ও রিপনকে গ্রেফতার করে। গত সোমবার (৭ এপ্রিল) পুলিশ পাপ্পুসহ অন্য আসামিদের রিমান্ডে নেয়। মঙ্গলবার বিকেলে পাপ্পুর দেওয়া তথ্যেও ভিত্তিতে একটি অব্যবহৃত ঘর থেকে রেজোয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দামকুড়া থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, রেজোয়ানের মুখ ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। লাশ পচে গন্ধ বের হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর নিহত রেজোয়ানের মরদেহ নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারা মূলত অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। রিমান্ডে জিঙ্গাসাবাদে তারা এমনটিই জানিয়েছে। রেজোয়ানের পরিবার আসামীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন