অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও পাহাড়ি-বাঙালির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দৃশ্য অবলোকন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ চারজন বিদেশি প্রতিনিধি বান্দরবানে এসেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের নয়নাভিরাম প্রাকৃতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন তারা।
১৮ এপ্রিল শুক্রবার প্রতিনিধি দলটি বান্দরবানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র নীলাচলে পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি অতিথিদেরকে বান্দরবানের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য, পর্যটন সম্ভাবনা, সামাজিক পরিবেশ ও উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর প্রতিনিধি দলকে নিয়ে ঘুরে দেখানো হয় নীলাচল ও মেঘলা। এছাড়াও উপদেষ্টা তাদের নীলগিরি, বগালেক, রেমাক্রি ও থানচি প্রভৃতি স্থানের সৌন্দর্য ও পর্যটন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
সফরে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও তার সহধর্মিণী ক্যাটরিনা মিলার, ইতালীয় নাগরিক আন্তেনিও আলেসান্দ্রো ও পাওলো বেনেফোওর এবং ডাচ আইনজীবী আঁন্দ্রে কার্স্টেন্স। প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রকৃতির এমন মনরোম দৃশ্য তাদের প্রশান্তি এনে দেয়।
পার্বত্য উপদেষ্টা দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সরকারি কার্যক্রম, বিদ্যমান সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয় প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিনের সরকারি সফরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পার্বত্য উপদেষ্টা বান্দরবানে এসে পৌঁছান। উপদেষ্টার সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানসামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, উপসচিব খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব শুভাশিষ চাকমা, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছারসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অসীম রায়( অশ্বিনী)
বান্দরবান
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন