নববর্ষে সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ



বান্দরবান জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক,পুলিশ প্রশাসক,  পৌরসভার সহজেলার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের প্রধানতম সামাজিক উৎসব বৈসাবি উৎসব শুরু হবে ১২ এপ্রিল থেকে। কিন্তু এর আগেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চলছে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে বৈসাবি মেলা।

তিন পার্বত্য জেলায় আসন্ন চৈত্র সংক্রান্তি (চৈত্রের শেষ দিন) উপলক্ষে আগামী ১৩ এপ্রিল পার্বত্য- জেলার বান্দরবান,রাঙামাটি, ও খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বৈসাবীকে ঘিরে পাহাড়ে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী (১২-১৮এপ্রিল) চলমান  উৎসবের আমেজ।

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে -মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাই উৎসব শুরু । ১২ ই এপ্রিল শনিবার ম্যারাথন দৌড়, সকাল: ৫.৩০ ঘটিকায় ও ফুটবল প্রীতি ম্যাচ, সকাল: ০৯.০০ ঘটিকায়  ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ। ঐতিহাসিক রাজার মাঠ এলাকায় উৎসবের সূচনা শুরু ঐ দিনে মারমা নৃত্যশিল্পীরা নাচ পরিবেশন করবেন। 



আসন্ন বৈসাবী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও    বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মতবিনিময়, 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, বান্দরবান পার্বত্য জেলার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন মিজ শামীম আরা রিনি, জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

আসন্ন বৈসাবী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও    বান্দরবান জেলার উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মারমা সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত:

আসন্ন বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবী (বিজু/বৈসু/বৈসুক/সাংগ্রাই/সাংক্রান/বিহু) উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য বান্দরবানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ উপলক্ষে বান্দরবান  পার্বত্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক ধর্মীয় উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উপলক্ষে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান। সভার অংশ হিসেবে সম্প্রদায় সঙ্গে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।




জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, সকল -বৈসাবী উৎসব পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় উৎসব হলেও পাহাড়ে এটা সকল সম্প্রদায়ের একটি মিলনমেলা বলা চলে। জাতি-গোষ্ঠীর সঙ্গে এই ধরনের ধারাবাহিক সভার আয়োজনের মাধ্যমে উৎসব উদযাপনের পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত ও সমন্বিত হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাথেও এমন মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হবে।

আসন্ন সাংগ্রাইং  এবং বিজু উৎসব উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে বান্দরবান জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১০ ই এপ্রিল বান্দরবান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন সাংগ্রাইং  এবং বিজু উৎসব উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে বান্দরবান জেলার পরিচালনা কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, পিপিএম(বার) । 

সভায় পুলিশ সুপার মহোদয় আসন্ন সাংগ্রাইং এবং বিজু উৎসব উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রকার আইনি সহায়তা প্রদানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

মাহা সাংগ্রাই পোয়ে ( বৈসাবি) উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করেছে বান্দরবান উৎসব উদযাপন পরিষদ।

৮ ই এপ্রিল মঙ্গলবার চড়ুই ভাতি রেস্টুরেন্টে উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে চনুমং মার্মা সভাপত্বিতে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

শুরুতেই আসন্ন মারমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী উৎসব মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা সভা করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা  উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মারমা।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে  ৮ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি আমরা।  সাংগ্রাই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১৩ তারিখে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এরপর জেলা অলিগলিতে  পিঠা তৈরীসহ বয়োজ্যেষ্ঠদের  পূজা হবে। 

সাংগ্রাই এর প্রধান  আকর্ষণ পানি মৈত্রী বর্ষণ তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ প্রাঙ্গণে ।

তিনি আরো জানান, মাঠে প্রবেশে প্রতিটি কমিটি সদস্যদের আইডি কার্ড ও সাংবাদিকদের জন্য আইডি কার্ডের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।



তাই গণমাধ্যম কর্মীসহ জেলা সর্বস্তরের মানুষকে অনুষ্ঠান সাফল্য করতে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান তিনি। নিরাপত্তার জন্য কোনো কিছুই কমতি থাকবে না। প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা সেটআপ করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে বলে জানান সভাপতি। 

এই উৎসবকে আনন্দঘন করতে প্রশাসন সহ সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন আয়োজকরা।

১২ এপ্রিল শনিবার ম্যারাথন দৌড়, সকাল: ৫.৩০ ঘটিকায় ও ফুটবল প্রীতি ম্যাচ, সকাল: ০৯.০০ ঘটিকায় স্থান: ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ।

১২ এপ্রিল শনিবার  সাংগ্রাইং লোকজ ক্রীড়া উৎসব, বিকাল ৩: ঘটিকায়

প্রধান অতিথি: জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার), মাননীয় পুলিশ সুপার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।স্থান: ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ।

১৩ এপ্রিল রবিবার সাংগ্রাইং বর্ণাঢ্য র‍্যালি, সকাল: ৭. ঘটিকায় প্রধান অতিথি: মিজ শামীম আরা রিনি মাননীয় জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

স্থান: ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ।

বয়োজ্যৈষ্ঠ পূজা, সকাল: ৯.০০ ঘটিকায় স্থান: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান। আয়োজনেঃ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান।

১৪ এপ্রিল সোমবার বুদ্ধস্নান দুপুর: ২:০০ ঘটিকায় স্থান: রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে শহর প্রদক্ষিণ শেষে উজানী পাড়া খেয়া ঘাটে স্নানুষ্ঠান।

পিঠা তৈরী উৎসব: রাত ৮: ঘটিকায় স্থান: পাড়া ভিত্তিক পিঠা তৈরী উৎসব অনুষ্ঠান

উৎসব উদযাপন পরিষদ

বান্দরবান পার্বত্য

মাহাঃ সাংগ্রাইং পোয়েঃ ২০২৫ অনুষ্ঠান সূচিঃ

এপ্রিল বুধবার ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা, তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণ ও লোকজ ক্রীড়া বিকাল: ৩:০০ ঘটিকায়

প্রধান অতিথিঃ

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম রাকিব ইবনে রেজওয়ান, এএফডব্লিউসি, পিএসসি মাননীয় কমান্ডার ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এবং রিজিয়ন কমান্ডার বান্দরবান রিজিয়ন।স্থান: ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ।

১৬ এপ্রিল বুধবার  মৈত্রী পানি বর্ষন, লোকজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিকাল: ৩:০০ ঘটিকায়, 

প্রধান অতিথিঃ জনাব থানজামা লুসাই মাননীয় চেয়ারম্যান, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। স্থান: ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ।

১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার - মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকাল: ৩:০০ ঘটিকায় প্রধান অতিথিঃ জনাব মোস্তফা সরয়ার ফারুকী মাননীয় উপদেষ্টা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থান: ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ।

১৮ এপ্রিল শুক্রবার মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকাল: ৩:০০ ঘটিকায় প্রধান অতিথি: জনাব সুপ্রদীপ চাকমা মাননীয় উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

স্থান: ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠ।



অসীম রায় (অশ্বিনী)

বান্দরবান



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর