জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে জোর আবেদন



জাকিরুল ইসলাম বাবু,জামালপুর প্রতিনিধি:

আজ একবুক কষ্ট নিয়ে আপনাকে লেখছি। জামালপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৬০ এর দশকে স্থাপিত বর্তমানে পরিত্যক্ত কাচারী শাহী জামে মসজিদ ও সংলগ্ন মাঠটি নিয়ে। ঐতিহাসিক এ স্থানটি এখন মাদকসেবি ও অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। অথচ জেলা মডেল মসজিদ নির্মানের সময় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, তৎকালিন জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কথা দিয়েছিল এখানে একটি সৌন্দর্যপূর্ণ ঈদগাহ মাঠ নির্মান করে দিবে। যেখানে জানাজার নামাজও আদায় করা হবে। দূর্ভাগ্য আমাদের ওরা কথা রাখে নাই। ফ্যাসিজমের কারণে সরকারের পতন হয়েছে। মডেল মসজিদ নির্মানের পর ৫ জন ডিসি মহোদয় বদলী হয়েছেন। প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় নাই। সর্বশেষ জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান স্যার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি সাহেবকে দিয়ে বিক্রির প্রক্রিয়াও করেছিল। রহস্যজনক কারণে সে প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। আমরা মসজিদের ওই জমির অধিগ্রহণের চিঠি পেলেও টাকা পাইনি। আমরা টাকা চাই না। ওই টাকা দিয়ে ঈদগাহ মাঠ স্থাপন করে দিন দয়া করে।

পরিত্যাক্ত মসজিদ ঘরে ১২টি এসি, ৩০ ফ্যান ক্রমেই অচল হয়ে পড়ছে। অনেক সামগ্রী ইতিমধ্যে চুরি হয়ে গেছে। ঘরসহ মসজিদে রক্ষিত মূল্যবান পন্যসামগ্রী বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ করা যায়। অতিরিক্ত টাকায় ঈদগাহ মাঠ নির্মানে ব্যয় করা যায়।

ওই মসজিদ মাঠের একাংশ সরকারি ভূমি অফিস ছিল। মসজিদের নামে ৮৬ শতাংশ জমি ছিল। আমাদের ও জেলা প্রশাসনের আপত্তি সত্তেও  প্রভাবশালী এমপিসহ জেলা আওয়ামী নেতাদের প্রভাব ও শক্তি খাটিয়ে সকল জমি জবর দখল করে পার্ক বানানো হয়েছে। সুরম্য মডেল মসজিদ নির্মান করা হলেও পাশেই কপোত, কপোতীদের অশ্লিল আড্ডার নিরাপদ জায়গা করে দেয়া হয়েছে। এখানে খেলার মাঠ ছিল। পুকুর ছিল। নানা প্রজাতির বৃক্ষ ছিল। পাখিদের কলরব ছিল। সব ধংস করে আমাদের ধর্ম, বাংলার আবহমান সংস্কৃতির লিলাভূমি ধংস করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেও রুখতে পারি নাই। কারো প্রতিবাদ তারা তোয়াক্কাও করে নাই। যা হবার হয়েছে। আর আমরা বাড়তি কিছু হোক তা চাই না। পরিত্যক্ত মসজিদ ঘর ও খোলা জায়গা বেদখলের পায়তারা করেছিলো তৎকালিন নেতারা। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে দখল করতে পারে নাই। তবে ভাব দেখে বুঝতে ছিলাম ওই জায়গাটাও তারা গলদকরণ করে ফেলবে। সে সুযোগ আর তারা পায় নাই। এখন আবার কিছু শকুন মানুষ দখলের পায়তারা করছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা ওখানে নির্মান করেছে। 

শ্রদ্ধেয় জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার মাধ্যমে এর একটা সুরাহা আমরা চাইছি।

অবিলম্বে ঘর, এসি, ফ্যানসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হোক।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ঈদগাহ মাঠের কাজ শুরু করা হোক।

নিরাপত্তা দেয়াল নির্মান করা হোক

কাচারী শাহী ঈদগাহ মাঠ নামকরণ করে একটি কমিটি গঠন করা হোক

আগামী ঈদুল আজহা'র নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হোক।

ডিসি মহোদয় আমাদের আবেদনে আপনি সাড়া দিবেন এ প্রত্যাশা করছি।

আমরা দাবি আদায়ে মাঠে নেমে আপনাদের বিভ্রত করতে চাই না। এ আমাদের ন্যয়সঙ্গত দাবি এবং ধর্মীয় অনুভুতির বিষয়।

আমার এ মানবিক, ধর্মীয় এবং ঐতিহ্য ফেরানোর আবেদন, দাবিময় লেখাটি বেশী বেশি শেয়ার চাচ্ছি।

Post a Comment

أحدث أقدم
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর
DailyKhobor.Com | ডেইলি খবর